স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। আমাদের দেশে প্রচুর শিক্ষার্থী প্রতিবছর মেডিকেল পড়ালেখা শেষ করে চিকিৎসক হচ্ছেন। আমাদের চিকিৎসকরা যেমন মেধাবী তেমন দক্ষ। শুধু একটু সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে এবং তাদেরকে দায়িত্ব অনুযায়ী ভরসা দিয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ থেকে কোন রোগীকে আর আগামীতে বিদেশ যেতে হবে না। কিছুদিন আগেই আমরা ভুটানের ক্যান্সার আক্রান্ত এমন এক মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে ভালো করেছি যার চিকিৎসা ভারত ও ব্যাংককেও সম্ভব হয় নাই। কাজেই বাংলাদেশ পারে না এমন কোন কাজ নাই। বাংলাদেশেই এখন সব রোগের চিকিৎসা সুবিধা আছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিএসএমএমইউতে নাভা ও নোভা নামের দুটি শিশুর জোড়া মাথা আলাদা করার অপারেশন সাকসেসফুল হলো। এটি সাধারণ কোন কাজ নয়। এখানে আমাদের অভীজ্ঞ বড় একটি চিকিৎসক টিম একটানা ১৩ ঘন্টার বেশি সময় অপারেশন করে এই অসাধ্য কাজ সাধন করেছেন। এই অপারেশন ভারত বা বাইরের দেশে করতে গেলে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হত। কিন্তু বাংলাদেশে এই দুই অবুঝ শিশুর চিকিৎসা ব্যয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে আমাকে এখানে আসতে বলেছেন।
এর আগেও বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরাই মাথা জোড়া লাগা শিশুর সফল অপারেশন করেছি। সুযোগ পেলে আমরা যে আসলেই পারি এগুলো কাজ হচ্ছে তারই প্রমান। চিকিৎসাক্ষেত্রেও আমরা দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছি। আমি বলতে পারি, দায়িত্ব নিয়ে আমরা চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিলে বাংলাদেশ থেকে এখন জটিল সব রোগেরই চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।”
মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লোকের ১০ম তলায় নাভা ও নোভা নামের দুই শিশুর জোড়া মাথার সফল অস্ত্রোপচার শেষে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা সামন্ত লাল সেন।
বিএসএমএমইউ এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, নাভা-নোভার মা সহ অন্যান্য সিনিয়র চিকিৎসক বৃন্দ এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথেই ছিলেন।