Home > ফিচার > যেসব কারণে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি হৃদরোগের শিকার হন

যেসব কারণে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি হৃদরোগের শিকার হন

খারাপ জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসকে হার্টের সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শহরাঞ্চলে বসবাসকারী নারীদের জন্য এই দুটি বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া কঠিন, যার কারণে তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তবে আমরা আপনাকে বলি যে গ্রামীণ মহিলাদের মধ্যেও ঝুঁকি খুব কম নয়।

হৃদরোগের অনেক কারণ রয়েছে যার মধ্যে প্রধান হলো উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, সামান্য শারীরিক পরিশ্রম এবং মানসিক চাপ।

নারীদের হৃদরোগের ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্রে একটি বড় কারণ হল অতিরিক্ত দায়িত্বের বোঝা। যা মানসিক চাপ বাড়াতে কাজ করে। পরিবার এবং অফিসের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করার সময়, তিনি তার স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করে চলেছেন। আপনার বয়সের সাথে সুস্থ থাকার জন্য, আপনার খাদ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং সময়ে সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে অনেক রোগ সময়মতো শনাক্ত হয় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা যায়।

নারীদের হৃদরোগের লক্ষণগুলি পুরুষদের তুলনায় আলাদা হতে পারে, যেমন ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট , বুকের ব্যথার চেয়ে পিঠে বা চোয়ালে ব্যথা। যাকে সাধারণ সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করা হয়। এ কারণে অনেক সময় হৃদরোগ সময়মতো ধরা পড়ে না।

নারীদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। এ জন্য সবার আগে ডায়েটের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। আপনার ডায়েটে পুরো শস্য এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবারের সাথে মৌসুমী ফল এবং শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন। এর পাশাপাশি স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট , সোডিয়াম ও চিনি জাতীয় খাবার কমিয়ে খারাপ কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং হৃদরোগ এড়ানো যায়।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো, কার্ডিও হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়ক। ওয়ার্কআউট করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি হার্টের সমস্যার ঝুঁকিও কমে।

ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন নিয়ন্ত্রণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করে আপনি হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে পারেন। এ ছাড়া সীমিত পরিমাণে অ্যালকোহল পান করুন, অতিরিক্ত মদ্যপান রক্তচাপ বাড়াতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।

মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত, কারণ চাপ এবং বিষণ্ণতা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। নিয়মিত যোগব্যায়াম, ধ্যান এবং পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

হৃদরোগ প্রতিরোধে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং স্ক্রিনিংও গুরুত্বপূর্ণ। আপনার রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার পরীক্ষা করতে থাকুন এবং ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী ওষুধ খান।

আরও পড়ুনঃ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়াতে মার্কিন ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

Leave a Reply